আজিজুল ইসলাম পিরোজপুর প্রতিনিধ: পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী গ্রামে দিনে দুপুরে শিক্ষক দম্পত্তির বাসায় ডুকে শেফালি বেগম(৭২) নামে এক বৃদ্ধকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে গেছে র্দুবৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার (১১ নবেম্বর) দুপুরে সুটিয়াকাঠি গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে শিক্ষক মো: এনামুল হক মিলন এর বাসায় ওই র্দুদর্শ লুটের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই শিক্ষক দম্পত্তি কেহ বাসায় ছিলনা। শেফালী বেগম এনামুল হক মিলনের মা। পুলিশ খবর পেয়ে এ রিপোর্ট লেখা পূর্ব পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আছেন।
এনামুল হক মিলনের স্ত্রী রুবিনা রহমান শ্রাবনী বলেন, ঘটনার সময় আমরা স্কুলে ছিলাম। আমার ছেলে তাহজিদ(১০) মাদরাসায় পড়ে। সে দুপুরে মাদরাসা থেকে এসে ঘরে ডুকে তার দাদীকে অচেতন দেখে অনেক ডাকাডাকি করে। পরে ছেলে স্কুলে এসে আমাকে জানালে আমি বাসায় আসি। এসে দেখতে পাই, শাশুড়ির গলা,হাত,পা,মুখ বাধা। এসময় বাসার সব কিছু তচনছ দেখতে পেয়ে ঘরের আলমারির কাছে দেখি আলমারি ভাঙা। পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রুবিনা রহমানের অভিযোগ তার বাসা থেকে নগদ বেশ কিছু টাকা সহ সাত থেকে আট ভরি স্বর্ন লুট হয়েছে।
সুটিয়াকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান মো: রুহুল আমীন অসিম, স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, এনামুল হক এবং তার স্ত্রী পৃথক পৃথক স্কুলে চাকরি করেন। ঘটনার সময় তারা উভয়ে স্কুলে ছিলেন। এমনকি তার দশ বছরের একটি ছেলে স্কুলে গিয়েছিল। শুনেছি তার বাসায় কে বা কারা যেন প্রবেশ করে ঘরে থাকা এনামুলের মায়ের হাত,মুখ ও গলায় গামছা পেচিয়ে মেরে ঘরে থাকা টাকা স্বর্নালংকার নিয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য মো: বছিদ তালুকদার জানান, তাদের দুইতলা একটি দালান ঘর। যাহার নিচ তলা কমপ্লিট হয়নি। দ্বিতীয় তালায় তারা থাকতেন। দুপুরে এনামুলের ঘরে দুর্বৃত্তরা ডুকে তার মাকে মেরে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বনি আমীন জানান, মোবাইল ফোনে জানান, “আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এটা ডাকাতি না অন্য কিছু, তা এখনো বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত চলছে। পরে ফোন দিয়েন”।