হৃদয় রহমান ঝিনাইদহঃ নদীর স্রোত আর বৃষ্টির পানিতে সড়কের একাংশ ভেঙে চলে গেছে নদীগর্ভে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি দিয়ে ছোট যানবাহন পার হওয়ার সময় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। চলাচলকারীদের সতর্ক করতে সড়কের মাঝখানে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া,তার উপর টাঙানো হয়েছে লাল রঙের নিশানা। এমন অবস্থায় চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর- শৈলকুপা সড়ক। দ্রুত সংস্কারের দাবি পথচারীদের। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে,শিগগিরই শুরু হবে সংস্কার কাজ। জানা যায়, হাটগোপালপুরের হরিশংকরপুর থেকে শৈলকুপা যাওয়ার গ্রাম্য সড়কের কোদালিয়া অংশটির একাংশের প্রায় ৬০ শতাংশ ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে।
প্রতিদিন এই সড়কে চলাচলকারীদের সংখ্যা কয়েক হাজার। স্থানীয়রা বলছেন,প্রায় ৬ মাস ঝুকি নিয়ে চলছেন তারা। প্রথমদিকে অল্প জায়গায় ভাঙা থাকলেও সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে এখন পুরো সড়কই ধসে যাওয়ার পথে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করায় এমন দশা বলে অভিযোগ পথচারীদের।
ভাঙন ঠেকাতে দেড় বছর আগে কালভার্ট নির্মাণের উদ্যেগ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। গাড়ীচালক রিয়াজ শেখ বলেন,‘জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয় এই রাস্তায়। যেকোন সময় বাকি রাস্তাটুকু নদীগর্ভে ভেঙে পড়বে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটবে।’ ইজিবাইক চালক হালিম বলেন,‘কয়েকমাস যাবৎ রাস্তাটি ভেঙে পড়ে আছে। এরই মধ্যে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙায় পড়ে মারাত্নক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার না করলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে।’ স্থানীয় বাসিন্দা আশিক বলেন,‘ভাঙা স্থানে একটি ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মাণ না করলে যেকোন সময় পুরো রাস্তাটি ধসে পড়বে নদীতে। তখন দু’পাশের হাজার হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সংশ্লিষ্টদের কাছে অতিদ্রুত ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’ এদিকে সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রকৃতিকে দুষছেন ঝিনাইদহ এলজিইড’র নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন। তিনি বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে সড়কে ধস নেমেছে। ভাঙন ঠেকাতে কালভার্ট বা ব্রীজ নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।